সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ Classification of Constitution
সংবিধানের প্রকারভেদ বা শ্রেণিবিভাগ নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতভেদ দেখা যায়। কেননা, বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিভিন্ন জন সংবিধানের বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগের উল্লেখ করেন। এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো : ক. লিপিবদ্ধকরণের প্রকৃতি অনুসারে সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ : লিপিবদ্ধকরণের প্রকৃতি অনুসারে সংবিধানকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা : ১. লিখিত সংবিধান ও ২. অলিখিত সংবিধান ।
১. লিখিত সংবিধান ( Written Constitution) : রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক নিয়ম-কানুনসমূহ যখন এক বা একাধিক দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে, তখন তাকে লিখিত সংবিধান বলে। অর্থাৎ, লিখিত সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার অত্যাবশ্যক মূলনীতিগুলো সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকে। তবে লিখিত সংবিধানের বিধি-বিধান বা নিয়ম-কানুনসমূহ রীতিনীতি, প্রথা প্রভৃতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে না। বরং লিখিত সংবিধান হলো জ্ঞানী-গুণী ও প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদদের সুচিন্তিত অভিমতের ফসল। সচেতন উদ্যোগ ও পরিকল্পিত প্রচেষ্টার ফলে এ ধরনের সংবিধান গণপরিষদ বা আইনসভা কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ে প্রণীত হয়। লিখিত সংবিধানের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। এছাড়া ভারত, ফ্রান্স, রাশিয়া, কানাডা, চীন, জাপান এবং বাংলাদেশেও লিখিত সংবিধান বিদ্যমান।
২. অলিখিত সংবিধান ( Unwritten Constitution) : অলিখিত সংবিধান হচ্ছে লিখিত সংবিধানের বিপরীত রূপ। কেননা, কোনো রাষ্ট্রে শাসন পরিচালনার মৌলিক নিয়ম-কানুনসমূহ যখন প্রথা আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, তখন তাকে অলিখিত সংবিধান বলে। এরূপ সংবিধান নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে গণপরিষদ বা আইনসভা কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ে রচিত হয় না, বরং ঐতিহাসিক ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। এরূপ সংবিধান তৈরি হয় না, বরং গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে, স্যার জেমস্ ম্যাকিনটেন বলেন, “সংবিধান জন্মলাভ করে— কেউ প্রণয়ন করে না” (Constitution grow instead of being made)। যে কারণে অলিখিত সংবিধান বলতে আমরা সেই সংবিধানকে বুঝি, যার ধারাসমূহ কোনো দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে না। ব্রিটিশ সংবিধান হচ্ছে অলিখিত সংবিধানের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত। ব্রিটিশ সংবিধান প্রসঙ্গে বার্নার্ড শও বলেছেন, “আসলে নাকি শাসনতন্ত্র আছে, কিন্তু সেটা যে কি জিনিস তা কেউ চোখে দেখেনি।” তবে এককভাবে লিখিত বা অলিখিত সংবিধানের অস্তিত্ব কোথাও লক্ষ করা যায় না। কারণ, লিখিত সংবিধানে অলিখিত নিয়ম এবং অলিখিত সংবিধানে লিখিত নিয়ম বা আইন থাকে ।
খ. সংশোধন পদ্ধতি অনুসারে সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ (Classifications of Constitution as per Amendment) : সংশোধন পদ্ধতির ভিত্তিতেও সংবিধানকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
১. সুপরিবর্তনীয় সংবিধান ও ২. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান। নিম্নে উভয় প্রকার সংবিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো : ১. সুপরিবর্তনীয় সংবিধান (Flexible Constitution) : সুপরিবর্তনীয় সংবিধান হলো ঐ সংবিধান যে সংবিধান সংশোধনের জন্য বিশেষ কোনো জটিল পদ্ধতি অবলম্বনের প্রয়োজন হয় না, বরং সাধারণ আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তনের পদ্ধতি অনুসারে সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায়। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে সাংবিধানিক আইন ও সাধারণ আইন একই পর্যায়ভুক্ত। কেননা, সাধারণভাবে আইনসভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটদানকারীর সমর্থনে এই সংবিধান সংশোধন করা যায়। সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের জন্য অলিখিত সংবিধানই যে একমাত্র অবলম্বন তা সঠিক নয়, কেননা সংবিধান লিখিত হলেও তা সুপরিবর্তনীয় হতে পারে। যেমন— যুক্তরাজ্যের অলিখিত সংবিধান ও নিউজিল্যান্ডের লিখিত সংবিধান সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের উদাহরণ। যুক্তরাজ্যে কোনো সাংবিধানিক আইন সংশোধন করতে হলে পার্লামেন্টকে কোনো প্রকার জটিল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় না। যে কোনো সাধারণ আইনের অনুরূপে তা সংশোধন করা যায়। যুক্তরাজ্যে সঙ্কোচনের সাধারণ আইন (Ordinary Law) এবং সাংবিধানিক আইনের (Constitutional Law) মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয় না ।
২. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান (Rigid Constitution) : যে সংবিধান সংশোধন, পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের জন্য দেশের প্রচলিত সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় না, বরং বিশেষ কোনো জটিল পদ্ধতি অনুসরণের প্রয়োজন হয়, তাকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলে। উদাহরণস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের কথা বলা যায়। কেননা, মার্কিন কংগ্রেস সাধারণ আইনের ন্যায় সংবিধান সংশোধন করতে পারে না। প্রথমত সংশোধনী প্রস্তাব আনয়ন করতে হয়। সংশোধনী প্রস্ত বি আনয়ন করতে পারে কংগ্রেসের দুটি কক্ষের প্রত্যেকটিতে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট দ্বারা, জাতীয় আইনসভা (কংগ্রেস) কর্তৃক বা দুই তৃতীয়াংশ অঙ্গরাজ্যের অনুরোধক্রমে কংগ্রেস কর্তৃক আহুত এক সভা। এরূপে সংশোধনী প্রস্তাব আনয়ন করা হলে সেটা প্রত্যেক রাজ্যের আইনসভার নিকট অথবা প্রত্যেক রাজ্যে এ উদ্দেশ্যে আহুত সভাসমূহের নিকট উপস্থাপন করতে হয়। যদি অঙ্গরাজ্যগুলো এই উদ্দেশ্যে আহুত সভার অন্তত দুই তৃতীয়াংশ অথবা আইনসভাসমূহের অন্তত দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সংশোধনী প্রস্তাব সমর্থন করেন, তবেই তা কার্যকর হয়। যে কারণে মার্কিন সংবিধান প্রায় ২০০ বছরে মাত্র ৩০ বার সংশোধিত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানও দুষ্পরিবর্তনীয়। কেননা, জাতীয় সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হলেই কেবল রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করেন।
গ. ক্ষমতা বণ্টনের পদ্ধতি অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ (Classifications of Constitution as per Separation of Power) : রাষ্ট্রের ক্ষমতা বণ্টনের মানদণ্ডের ভিত্তিতে সংবিধানকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—
১. যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান (Federal Constitution) : যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকারগুলোর মধ্যে সমমর্যাদার ভিত্তিতে ক্ষমতা বণ্টন করে দেওয়া হয়। যেমন— ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান।
২. এককেন্দ্রিক সংবিধান (Unitary Constitution) : এককেন্দ্রিক সংবিধানের কেন্দ্রীয় সরকারকে সমগ্র দেশের জন্য আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয় । যেমন- বাংলাদেশের সংবিধান।
৩. রাষ্ট্রপতি শাসিত (Presidential Constitution) : রাষ্ট্রপতি শাসিত সংবিধান রাষ্ট্রপতির প্রাধান্য নির্ভর সরকার প্রতিষ্ঠা করে। যেমন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ।
৪. সংসদীয় সংবিধান (Parliamentary Constitution) : সংসদীয় পদ্ধতির সংবিধান মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার প্রতিষ্ঠা করে, এখানে আইনসভার প্রাধান্য বিদ্যমান থাকে। যেমন- বাংলাদেশের সংবিধান ।
ঘ. সরকার পরিচালনায় জনসাধারণের অংশগ্রহণের নীতি অনুযায়ী সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ : সরকার পরিচালনায় জনগণের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অংশগ্রহণের মাত্রার উপর নির্ভর করে সংবিধানকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা— ১. প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান; এবং ২. রাজতান্ত্রিক বা অভিজাততান্ত্রিক সংবিধান ।
১. প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান (Republican Constitution) : যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান একজন রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্ট, যিনি জনগণের ভোটে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন, সেই দেশের সংবিধানকে প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান বলে। যেমন : বাংলাদেশ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ।
২. রাজতান্ত্রিক বা অভিজাততান্ত্রিক (Monarchial or Aristrocratic Constitution) : যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান একজন রাজা, যিনি উত্তরাধিকার সূত্রে শাসনক্ষমতা লাভ করেন, সেই দেশের সংবিধানকে রাজতান্ত্রিক সংবিধান বলে। যেমন— ভুটানের সংবিধান।
৫. মার্কসীয় পদ্ধতি অনুসারে সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ (Classifications of Constitution as per Marxist) : মার্কসীয় পদ্ধতি অনুসারে সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ :
সমাজতন্ত্রের তাত্ত্বিক গুরু কার্ল মার্কস (Karl Marx) ঊনবিংশ শতাব্দির সমাজ ও অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সংবিধানকে দুইভাগে ভাগ করেছেন। যথা—
১. বুর্জোয়া সংবিধান (Bourgeois Constitution) : বুর্জোয়া শ্রেণি বা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সর্বপ্রকার সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির স্বার্থ রক্ষাকল্পে যে সংবিধান প্রণীত হয় তা হচ্ছে বুর্জোয়া সংবিধান। পশ্চিমা বিশ্বের সকল দেশের সংবিধানকেই কার্ল মার্কস মূলত বুর্জোয়া সংবিধান হিসেবে অভিহিত করেন।
২. শ্রমিক শ্রেণির সংবিধান (Labour Class Constitution) : সমাজের খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষাকারী শাসনতন্ত্রকে শ্রমিক শ্রেণির সংবিধান বলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে এই ধরনের সংবিধান প্রবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিল।
চ. লোয়েনস্টাইন-এর সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ (Classifications of Constitution as per Lueinstain) : লোয়েনস্টাইন সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গিতে সংবিধানকে তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। যথা :
১. মৌলিক ও মৌলিকতাবিহীন সংবিধান ;
২: নীতি সংবদ্ধ ও নিরপেক্ষ সংবিধান;
৩. নিয়মনিষ্ঠ, নামমাত্র ও শব্দার্থের দিক থেকে স্বীকৃত সংবিধান ।
১. মৌলিক ও মৌলিকতাবিহীন সংবিধান (Basic and Basicless Constitution) : যে সমস্ত সংবিধানে রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রয়োগ পদ্ধতি প্রসঙ্গে সক্রিয় বিধিরীতি নিরূপণের মৌলিক উপায় বর্তমান থাকে সেগুলোকে লোয়েনস্টাইন মৌলিক সংবিধান বলেন। যেমন— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ।
অপরদিকে, অন্যান্য দেশের সংবিধানের অনুকরণে রচিত সংবিধানকে মৌলিকতাবিহীন সংবিধান বলা হয়েছে । কেননা, এই সকল সংবিধানের কোনো প্রকার মৌলিকত্ব বা নিজস্বতা থাকে না। উদাহরণ হিসেবে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংবিধানের কথা বলা যায় ।
নীতি সংবদ্ধ ও নিরপেক্ষ সংবিধান (Ideologically Programmatic and Neutral Constitution) : নির্দিষ্ট কিছু আদর্শ বা নীতিকে কেন্দ্র করে প্রণীত সংবিধানকে নীতিসংবদ্ধ সংবিধান বলে। যেমন— সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ভিত্তিতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধান রচিত হয়েছে। অপরদিকে, অনেক সংবিধানে বিশেষ নীতি বা আদর্শের প্রতি কোনো আনুগত্য থাকে না। দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রভৃতি অবস্থার বিচারে এই সংবিধান প্রণীত হয়। এক্ষেত্রে ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানির সংবিধানের কথা বলা যায় ।
নিয়মনিষ্ঠ, নামমাত্র ও শব্দার্থের দিক থেকে স্বীকৃত সংবিধান : সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিগুলো পরিচালিত হলে সেই সংবিধানকে নিয়মনিষ্ঠ সংবিধান বলে। দেশের সাংবিধানিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীনভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক, শক্তিগুলো পরিচালিত হলে সেই সংবিধানকে নামমাত্র সংবিধান বলে। অপরদিকে, তত্ত্বের অনুগামী না হয়েও যে সংবিধান ক্ষমতা কেন্দ্রগুলোকে ক্ষমতাসীন রাখতে সচেষ্ট থাকে, সেই সংবিধানকে শব্দার্থের দিক থেকে স্বীকৃত সংবিধান বলে। সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের সংবিধানকে লোয়েনস্টাইন এই শ্রেণিভুক্ত করেছেন।
উপরিউক্ত আলোচনা শেষে সংবিধানের প্রকারভেদকে নিম্নের ছকে উপস্থাপন করা হলো :
সংবিধান
প্রকারভেদের ভিত্তি
লিপিবদ্ধকরণের প্রকৃতি
১. লিখিত সংবিধান;
সংশোধন পদ্ধতি
ক্ষমতার বণ্টন নীতি
জনসাধারণের অংশগ্রহণ অনুসারে
মার্কসীয় ধারণা অনুসারে লোয়েনস্টাইন-এর শ্রেণিবিভাগ
১. সুপরিবর্তনীয় সংবিধান;
১. যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান;
৩. রাষ্ট্রপতি শাসিত সংবিধান; ১. প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান; ১. বুর্জোয়া সংবিধান;
প্রকারভেদ
১. মৌলিক ও মৌলিকতাবিহীন সংবিধান;
২. নীতিসংবদ্ধ ও নিরপেক্ষ সংবিধান;
২. অলিখিত সংবিধান ২. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান ২. এককেন্দ্রিক সংবিধান ৪. সংসদীয় সংবিধান
২. রাজতান্ত্রিক সংবিধান
২. শ্রমিক শ্রেণির সংবিধান
৩. নিয়মনিষ্ঠ, নামমাত্র ও শব্দার্থের দিকে থেকে সংবিধান ।