নির্বাচকমণ্ডলীর সংজ্ঞা

আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থায় নির্বাচকমণ্ডলী এবং প্রতিনিধিত্ব সংক্রান্ত বিষয়াদি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নির্বাচকমণ্ডলী প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে আইন ও শাসন বিভাগীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে। যে কারণে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে নির্বাচকমণ্ডলীর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। আর প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে নির্বাচকমণ্ডলী কেবলমাত্র সরকারের গঠন প্রকৃতি নির্ধারণ কিংবা সরকারের কার্যপরিচালনাকারী ব্যক্তিবর্গকেই নির্বাচিত করে না বরং আরও বহুমুখি ভূমিকা পালন করে থাকে। নির্বাচকমণ্ডলীর অনুরূপ বহুমুখি ভূমিকার কারণে নির্বাচকমণ্ডলীকে “সরকারের চতুর্থ অঙ্গ” (Fourth organ of Government) হিসেবে অবহিত করা হয়।

 নির্বাচকমণ্ডলীর সংজ্ঞা Definition of Electorate

সাধারণ ভাষায় নির্বাচকমণ্ডলী বলতে রাষ্ট্রে বসবাসকারী জনগণের সম্মিলিত সেই অংশকে বুঝায় যারা আইনসভা বা অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদেরকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করেন।

১. অধ্যাপক গেটেলের (Prof. Gettell) মতে, “নির্বাচকমণ্ডলী কার্যত সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও প্রভাবশালী শাখা ৷ কেননা, এর ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে এবং তা সরকারি ব্যবস্থায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রযোজ্য।”

২. অধ্যাপক গার্নার (Prof. Garner)-এর মতে, “নির্বাচকমণ্ডলী হলো নাগরিকদের সেই অংশ যারা সরকারের গঠন, প্রকৃতি ও কার্যাবলি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার তৈরি করেন।”

৩. ডব্লিউ. এফ. উইলোনী (Willoughby)-এর মতে, “প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের মূলভিত্তি হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলী।”

পরিশেষে বলা যায় যে, নির্বাচনে প্রতিনিধি বাছাইয়ে ভোটাধিকার প্রাপ্ত ভোটারের সমষ্টিই ভালো নির্বাচকমণ্ডলী। অর্থাৎ, সে সকল নাগরিক আইনসভা ও নির্বাচনি সংস্থার বা যে কোনো নির্বাচনে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার লাভ করে তাদের সমষ্টিত হলো নির্বাচকমণ্ডলী।

প্রতিনিধিত্বের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস  Brief History of Representative

সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে, মধ্য যুগে প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটে। তবে সেই সময়ের প্রতিনিধিত্ব পুরোপুরিভাবে গণতন্ত্র সম্মত বলা মুশকিল। কেননা, তখন সকল জনগণের ভোটাধিকার ছিল না। এখন আইনসভার প্রতিনিধি নির্বাচনে কেবল ধনিক-বণিক শ্রেণি, ভূ-স্বামী, অভিজাত সম্প্রদায় মুষ্টিমেয় ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণের সুযোগ পেত। ইংল্যান্ডের ‘পার্লামেন্ট, জার্মানির ডায়েট (Dict), স্পেনের করটেস (Cortes), ফ্রান্সের এস্টেটস জেনারেল এভৃতি তখন এইসব প্রতিনিধিত্বমূলক সংস্থায় সীমাবদ্ধ প্রতিনিধি ব্যবস্থা চালু ছিল।

মধ্যযুগের অবসানের পর জাতীয় রাষ্ট্রের (National States) উদ্ভবের সাথে সাথে রাজতন্ত্র যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তখন রাজতন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে আইনসভার প্রাধান্য ও প্রতিপত্তি খর্ব হয়। ইংল্যান্ডে আইন সভার প্রাধান্য, ভূমিকা ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ পার্লামেন্টের সাথে রাজতন্ত্রের সংগ্রাম চলতে থাকে। ১৬৮৮ সালে ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লব (Glorious Revolution) সাফল্যের ফলে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ১৯৩২ সালের পূর্ব পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জনপ্রতিনিধিত্বের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ঐ বছরই একটি সংস্কার আইনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধভাবে জনপ্রতিনিধিত্বের কিছু ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৩২ থেকে ১৯২৮ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডে ভোটাধিকার ও নির্বাচন সংক্রান্ত কতিপয় সংস্কারমূলক আইন প্রণীত হয়। বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কমন্সসভার (House of Commons ) প্রতিনিধি নির্বাচনে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স্ক সব ব্রিটিশ নাগরিকের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের বহু রাষ্ট্রে জনপ্রতিনিধিত্বের নীতি ও সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার স্বীকৃতি লাভ করেছে। তবে বিভিন্ন রাষ্ট্রে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের স্বীকৃতির পিছনে সুদীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও রক্ত ঝরানোর ইতিহাস রয়েছে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচকমণ্ডলীর ভূমিকা বা গুরুত্ব
Role or Importance of Electorate in Democratic State

প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচকমণ্ডলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লন করে থাকে। যে কারণে নির্বাচকমণ্ডলীকে সরকারের চতুর্থ অঙ্গ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :

১. প্রতিনিধি নির্বাচন : প্রতিনিধি নির্বাচনে নির্বাচকমণ্ডলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নির্বাচকমণ্ডলী তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে থাকে। আর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।

২. প্রতিনিধি প্রত্যাহার : নির্বাচকমণ্ডলী প্রতিনিধি নির্বাচনের পাশাপাশি প্রতিনিধি প্রত্যাহারেও ভূমিকা পালন করে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচনের পর কোনো প্রতিনিধি যদি পূর্ব প্রদত্ত কোনো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তবে এক্ষেত্রে নির্বাচকমণ্ডলী ঐ প্রতিনিধির উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে। রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি রাষ্ট্রে এ পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

৩. সরকার গঠন : সরকার কীভাবে গঠিত হবে, কাদের নিয়ে গঠিত হবে এবং রাষ্ট্রের একাধিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোন দলটি শাসনকার্য পরিচালনা করবে তা নির্বাচকমণ্ডলী স্থির করে দেয়। অর্থাৎ, নির্বাচকমণ্ডলী তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি বাছাই করে সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে থাকে।

৪. সরকার পরিবর্তন : সরকার পরিবর্তনে নির্বাচকমণ্ডলী সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। স্বাভাবিকভাবে নির্দিষ্ট সময় পর ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হয়। তাছাড়া সরকার জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করলে নির্বাচকমণ্ডলী সরকার পরিবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে এবং নতুন নির্বাচনের দাবি করতে পারে।

৫. নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ : আইন প্রণয়ন ও সরকারি নীতি নির্ধারণে নির্বাচকমণ্ডলীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচকমণ্ডলী সাধারণত কতগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পদ্ধতি যেমন গণউদ্যোগ (Initiative), গণভোট (Plebistic), গণনিৰ্দেশ (Referendum) ইত্যাদির মাধ্যমে আইন প্রণয়ন, সংশোধন, পরিবর্তন ও রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করে।

৬. সংবিধান সংশোধন : কোনো কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচকমণ্ডলী সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করে থাকে। সংবিধান সংশোধন বা নতুন সংবিধান প্রণয়নের পূর্বে নির্বাচকমণ্ডলীর মতামত গ্রহণ করা হয়। এভাবে নির্বাচকমণ্ডলী দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. জনমত গঠন : জনমতকে লক্ষ করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক সরকার তার কার্যক্রমের রূপরেখা প্রণয়ন করে। আর জনমত গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাচকমণ্ডলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সরকারের নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব বিস্তার করে। যে কারণে গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচকমণ্ডলীকে উপেক্ষা করে কাজ করতে পারে না ।

৮. সার্বভৌম ক্ষমতা : গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচকমণ্ডলী সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস হিসেবে কাজ করে। সরকারের কার্যের সমালোচনা করেই কেবল নির্বাচকমণ্ডলী ক্ষান্ত হয় না, বরং জনপ্রতিনিধিদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব বজায় রাখে। অবাঞ্ছিত সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে নির্বাচকমণ্ডলী শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার।

৯. গণতন্ত্রের বিকাশ সাধন : গণতন্ত্রকে সার্থক করে তোলার প্রাণবায়ু হলো জাগ্রত ও সচেতন নির্বাচকমণ্ডলী। গণউদ্যোগ, গণভোট, পদচ্যুতি প্রভৃতি প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচকমণ্ডলীর ভূমিকাই মুখ্য। নির্বাচকমণ্ডলী যত বেশি সুসংগঠিত ও সুবিন্যস্ত হয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তত বেশি বিকশিত হয় ।

১০. শাসনব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়ন : রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়নে নির্বাচকমণ্ডলীর ভূমিকা কম নয়। কেননা, নির্বাচকমণ্ডলী শাসনতন্ত্র প্রণয়নে ও পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ফলে বলা চলে যে, শাসনতন্ত্র প্রণয়ন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের ক্ষেত্রে আইনগত নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি হলো নির্বাচকমণ্ডলী।

১১. জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে : জাতীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে আশু মীমাংসার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হলে নির্বাচকমণ্ডলীই সর্বশেষ ভরসাস্থল হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকল্পে নির্বাচকমণ্ডলী সুনাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্যপালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

১২. স্বৈরশাসন রোধ : নির্বাচকমণ্ডলী স্বৈরশাসন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার কখনো কখনো অন্যায় ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে স্বৈরশাসনের পথ প্রশস্ত করে। এমতাবস্থায় স্বৈরশাসন রোধের জন্য নির্বাচকমণ্ডলী সমালোচনাসহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে। ফলে স্বৈরশাসন প্রতিহত হয়।

১৩. আইন প্রণয়নে প্রভাব বিস্তার : নির্বাচকমণ্ডলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করা। নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে আইনসভার সদস্যরা নির্বাচিত হয়, তারা নির্বাচকমণ্ডলীর মনোভাবের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে আইন প্রণয়ন করে থাকে । তাছাড়া প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচকমণ্ডলী প্রত্যক্ষভাবে আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখে । ১৪. দলীয় ব্যবস্থার উপর প্রভাব : গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচকমণ্ডলী রাজনৈতিক দলের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে ৷ বিশেষ করে নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক দল নির্বাচকমণ্ডলী দ্বারা অধিক পরিমাণে প্রভাবিত হয়। কেননা, এসময় রাজনৈতিক দল ভোটারদের মতামত অর্জনে সক্রিয় থাকে এবং তাদের দাবি-দাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল কোমল মনোভাব পোষণ করে থাকে ।

১৫. সরকার জনগণের মধ্যে সংযোগ সাধন : গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচকমণ্ডলী সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে। নির্বাচকমণ্ডলী সরকারকে জনগণের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে অবহিত করে। ফলে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হয়। সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় এটি ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। সরকার ও জনগণের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপিত হলে প্রশাসনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়  

১৬. বিচারক নিয়োগ : বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রেও নির্বাচকমণ্ডলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য দক্ষ ও উপযুক্ত বিচারক আবশ্যক। অনেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিচারক নিয়োগের সময় নির্বাচকমণ্ডলীর মতামত চাওয়া হয় এবং তাদের প্রদত্ত মতামতের ভিত্তিতে বিচারক নিয়োগদান করা হয়।

১৭. সরকারের অপরিহার্য অঙ্গ : আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচকমণ্ডলী সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে সরকারের  অপরিহার্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া নির্বাকমণ্ডলীই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উৎস।

১৮. আইনের প্রতিক্রিয়া যাচাই : কোনো আইনের খসড়া তৈরির পূর্বে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হবে তাও যাচাই করা হয়  নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এসব কারণে নির্বাচকমণ্ডলীর গুরুত্ব সর্বজনস্বীকৃত ।

১৯. ঐতিহ্য রক্ষা : নির্বাচকমণ্ডলী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসমূহের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাছাড়া তাঁরা বিভিন্ন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তথা ঐতিহ্য রক্ষা করে। ফলে দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা বিকশিত হয় ।

২০. দেশপ্রেম সৃষ্টি : গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচনে ভোটদানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নির্বাচকমণ্ডলী অংশগ্রহণ করে থাকে। এই গৌরব ও আত্মতৃপ্তি তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের সৃষ্টি করে।

Leave a Reply