ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয় কাকে?
১. ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয় কাকে?
উত্তর : মন্টেস্কু ।
২. মন্টেস্কু তাঁর কোন গ্রন্থে ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন?
উত্তর : The Spirit of Laws.
- The Spirit of Laws গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু ।
৪. এরিস্টটল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কয় ভাগে ভাগ করেছিলেন?
উত্তর : ৩ ভাগে।
৫. ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতিকে সমর্থনকারী কয়েকজন দার্শনিকের নাম লিখ ।
উত্তর : এরিস্টটল, মন্টেস্কু, জিন বডিন প্রমুখ ।
৬. কে সর্বপ্রথম ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রবর্তন করেন?
উত্তর : গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল।
৭. ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতি কী?
উত্তর : সরকারের ক্ষমতাকে তিনটি বিভাগের হাতে পৃথক পৃথকভাবে ন্যস্ত করা।
৮. ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রথম আধুনিক প্রবক্তা কে?
উত্তর : জিন বডিন ।
- ‘The Spirit of Laws’ গ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ১৭৪৮ সালে ।
১০. ব্ল্যাকস্টোন কোন গ্রন্থে ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতিকে সমর্থন করেন?
উত্তর : “Commentaries on The Laws of England.”
১১. ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির তিনটি গুরুত্ব লিখ ।
উত্তর : স্বেচ্ছাচারিতা রোধ, ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা, সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি ।
১২. কোন দেশের সংবিধানে ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ দেখা যায়?
উত্তর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
- “The three powers then must be separated, exercised by different individuals in such a way as toact as checks and balances against one another.”- কে বলেছেন?
উত্তর : মন্টেস্কু ।
১৪. মার্কিন সংবিধান প্রণেতাগণ তাঁদের সংবিধানকে কী নামে আখ্যায়িত করেন?
উত্তর : ‘ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ মতবাদ’।
১৫. ক্ষমতার ভারসাম্য নীতির আবির্ভাব ঘটে কীভাবে?
উত্তর : ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণের ফলেই।
১৬. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কার্যত কোন নীতির প্রয়োগ লক্ষ করা যায়?
উত্তর : ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি ।
১৭. কাদের প্রচেষ্টায় ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতি মার্কিন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?
উত্তর : ম্যাডিসন, হ্যামিলটন প্রমুখ ।
১৮. বাংলাদেশ ও ব্রিটেনে ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ সম্ভব নয় কেন?
উত্তর : দু’টো দেশই সংসদীয় শাসনব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত।
১৯. কোন শাসনব্যবস্থায় এ নীতির প্রয়োগ বেশি লক্ষ করা যায়?
উত্তর : রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থায় ।
২০. ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রবক্তাদের নাম লিখ।
উত্তর : এরিস্টটল, পলিবিয়াস, সিসেরো, মার্সিলিও অব পাপুয়া, জিন রঙিন, জন লক, হ্যারিংটন, মন্টেস্কু, ব্ল্যাকস্টোন প্রমুখ। ২১. “ক্ষমতা মানুষের মন থেকে মানবিক গুণাবলি ধ্বংস করে দেয়।”- উক্তিটি কার?
উত্তর : অ্যাডমন্ড বার্কের।
২২. “একই ব্যক্তি আইন প্রণয়ন ও আইন কার্যকরী করলে স্বেচ্ছাচারিতার সৃষ্টি হয় এবং নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষিত হয় না।”- মন্তব্যটি কে করেছেন?
উত্তর : ব্লাকস্টোন।
২৩. “ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে হলে আইন ও শাসন বিভাগকে আলাদা করতেই হবে”- উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তর : জন লক।
২৪. “একই সাথে বিচারক এবং আইন প্রণেতা হওয়ার অর্থ হচ্ছে ন্যায়বিচারের সাথে ক্ষমতার অধিকার এবং আইনের প্রতি
আনুগত্যের সহিত স্বেচ্ছাচারিতার সংমিশ্রণ ঘটানো।”- বক্তব্যটি কার?
উত্তর : জিন বডিন-এর।
২৫. এরিস্টটল এর কোন গ্রন্থে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সূত্রপাত করেন?
উত্তর : এরিস্টটল তাঁর The Politics গ্রন্থের চতুর্থ পর্বের চতুর্দশ অধ্যায়ে ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির সূত্রপাত করেন।
২৬. “আইন বা শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা এক ব্যক্তি বা একদল শাসকের হাতে ন্যস্ত হলে ব্যক্তিস্বাধীনতা থাকতে পারে না।”- উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তর : মন্টেস্কু করেছেন ।
২৭. জন লক কবে ক্ষমতাকে তিনটি বিভাগের হাতে বণ্টনের কথা বলেছেন?
উত্তর : জন লক ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দের রক্তপাত বিপ্লবের পর ক্ষমতাকে তিনটি বিভাগের হাতে বণ্টনের কথা বলেছেন ।
২৮. মন্টেস্কু ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির মূল অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কোথা থেকে?
উত্তর : জন লকের আলোচনা থেকে ।
২৯. ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির সাথে কার নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত?
উত্তর : ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কুর নাম।
৩০. কোন বিপ্লবের সময় ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়?
উত্তর : আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ফরাসি বিপ্লবের সময় ।
৩১. কোন দেশের প্রথম সংবিধানে ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতিকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়?
উত্তর : ফ্রান্সের প্রথম সংবিধানে।
৩২. “Power is of an encoarching nature”- উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তর : জেমস মেডিসন।
৩০. ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ মতবাদটির প্রবক্তা কে?
উত্তর : মন্টেস্কু।