মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সম্প্রসারণ/রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণসমূহ

মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সম্প্রসারণ/রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণসমূহ

Causes of Expansion/Increasing the Powers of the American President

১৭৮৭ সালে ফিলাডেলফিয়া সম্মেলনে গৃহীত সংবিধানে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ এবং পারস্পরিক নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের নীতির ভিত্তিতে মার্কিন সংবিধানের স্থপতিগণ শাসন বিভাগের প্রধানরূপে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু বিগত দু’শ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার অবস্থানের এত বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে যে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের এমন কোনো অঙ্গ নেই যেখানে কোনো না কোনো ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয় নি। মার্কিন রাষ্ট্রপতিও এক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম নন। বিগত দু’শ বছরে মার্কিন রাষ্ট্রপতির ভূমিকারও অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। যদিও কোনো ব্যাপক সাংবিধানিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এই পরিবর্তন ঘটেনি, বরং সাংবিধানিক রীতিনীতি, কারাসের ভূমিকা, জনসাধারণের চিন্তাধারা, সরকারি কার্যকলাপের প্রসার, রাজনীতির স্বপ্ন ও সংকট, বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তিত ভূমিকা, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও প্রভাব বৃদ্ধি বা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। অধ্যাপক পাখির মতানুসারে, “আইনের দ্বারা সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান আইনের গণ্ডির মধ্যে চিরকাল আবদ্ধ থাকে না।” মার্কিন রাষ্ট্রপতি পদের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্বের ও প্রভাব-প্রতিপত্তির প্রসার ঘটেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে । ভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন খ্যাতনামা রাষ্ট্রপতিগণের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। নিয়ো মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সম্প্রসারণ বা ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণসমূহ আলোচনা করা হলো।

ক. রাষ্ট্রপতির ·ক্তিগত প্রয়াস/ রাষ্ট্রপতি পদের ভূমিকা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকারী দৃঢ়চেতা রাষ্ট্রপতিদের ব্যক্তিত্বপূর্ণ ভূমিকা ও সক্রিয় উদ্যোগ রাষ্ট্রপতি পদের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। এক্ষেত্রে হ্যামিল্টন, ম্যাডিসন, জেফারসন, জ্যাকসন, লিঙ্কন, ক্লিভল্যান্ড, থিয়োডর রুজভেল্ট, উইলসন, ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট প্রমুখ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে সংবিধান নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমিত রাখেন নি। তাঁরা বিভিন্ন সমকালীন জাতীয় সমস্যা ও সংকটের সমাধানের জন্য যেসকল ব্যবস্থ গ্রহণ করেছেন তাতে রাষ্ট্রপতি পদের ক্ষমতা ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণ হিসেবে গৃহযুদ্ধের সময়কালে রাষ্ট্রপতি লিঙ্কন এবং বিংশ শতাব্দির ত্রিশের দশকে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে রুজভেল্টের ‘নিউ ডিল পলিসি’ এর কথা উল্লেখ করা যায়। তাঁদের ব্যক্তিত্ব ও প্রভাব রাষ্ট্রপতি পদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে।

খ. সরকারি কার্যকলাপের প্রসার : বর্তমান সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সরকারি কার্যকলাপ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি কার্যকলাপের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কর্মক্ষেত্রের পরিধিও বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়ার নেতা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিবিধ আন্তর্জাতিক সমস্যার সাথে জড়িত হতে হয়েছে । ফলে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে, জাতীয় অর্থনীতির স্থায়িত্ব বজায় রাখতে, জাতিসংঘে মার্কিন স্বার্থ বজায় রাখতে সরকারকে নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকারের কার্যাবলির প্রসার ঘটেছে তেমনি আবার সরকার প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ ও নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে ।

গ. কংগ্রেসের ভূমিকা : কংগ্রেস কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্বের ও নেতৃত্বের ব্যবস্থাকে অনুমোদন করেই ক্ষান্ত থাকে নি, তাকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সহায়তা করেছে। হস্তান্তরিত ক্ষমতা অনুযায়ী কংগ্রেস অনেক ক্ষেত্রে বিধি প্রণয়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির নিকট হস্তান্তর করেছে। কংগ্রেসের উভয় কক্ষে রাষ্ট্রপতির নিজ দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে তাঁর পক্ষে প্রভাব বিস্ত রি সহজসাধ্য হয়। বাণী প্রেরণ, সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, সাংবাদিক সম্মেলন প্রভৃতির মাধ্যমে নিজ মতামত ব্যক্ত করে এবং নিয়োগের ক্ষমতা প্রয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা বণ্টনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজ প্রভাব বিস্তারে সফল হয়েছেন। ফলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ঘ. যুদ্ধ সংকট : যুদ্ধ ও সংকটকালীন পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থরক্ষার জন্য কংগ্রেস ও জনমত রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতার দাবিকে স্বীকার করেছে। সংবিধানে সীমাবদ্ধ ক্ষমতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি পদের সূত্রপাত ঘটলেও পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতিগণ যুদ্ধ সংক্রান্ত ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছেন। রাষ্ট্রপতি নিজেই পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের একমাত্র উৎসে পরিণত হয়েছেন। সংকটকালীন অবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার একমাত্র রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করার দাবি উত্থাপিত হয়েছে।

৫. প্রশাসনিক কাঠামোর বিস্তার : বিংশ শতকে মার্কিন প্রশাসনিক কাঠামোর সম্প্রসারণও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ । শাসন বিভাগের প্রধান এবং ক্রমপ্রসারমাণ প্রশাসনিক ব্যবস্থার নেতা হিসেবে মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ কাঠামোর মধ্যে আছে কেবিনেট সেক্রেটারি, বিভিন্ন ব্যুরোর প্রধান, কমিশনের প্রধান এবং এরকম অসংখ্য পদস্থ কর্মচারী। এদের সকলকে নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের যে কাঠামো রচিত হয় তারই সর্বময় কর্তা হলেন রাষ্ট্রপতি। সে সুবাদে মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও প্রভাব প্রতিপত্তি বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ।

চ. আদালতের ভূমিকা : মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সহায়ক ভূমিকাও মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে । মার্কিন রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে সিনেটের সম্মতি ব্যতীতই মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদচ্যুত করতে পারেন। ১৯২৬ সালে মেয়ার্স বনাম যুক্তরাষ্ট্র মামলায় রাষ্ট্রপতির অপসারণ ক্ষমতাকে প্রায় নিরঙ্কুশ করা হয়। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র বনাম কারটিস রাইটস এক্সপোর্ট কর্পোরেশন মামলায় পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অপ্রতিহত ক্ষমতা স্বীকৃত হয়। তাছাড়া ১৮৬৩ সালে প্রাইজ মামলায় এবং ১৮৬৬ সালে ওয়ালেশ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের সাংবিধানিক অবস্থান ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের অধিকার লাভ করেছেন। এসব কারণে বলা হয় যে, বিচার বিভাগের ভূমিকাও মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সম্প্রসারণে সহায়তা করেছে।

ছ. জনসাধারণের আস্থা : মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে মার্কিন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে মান্য করা হয় । তাঁর নেতৃত্বের উপর দেশ ও দেশবাসী নির্ভরশীল। সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নীতি নির্ধারণ ও নীতি বাস্তবায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে জনসাধারণ মার্কিন রাষ্ট্রপতির উপর অগাধ আস্থা পোষণ করে। রাষ্ট্রপতি দেশ, সরকার, নিজ দল, সর্বোপরি জাতির নেতা হিসেবে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। আপসের নীতি এবং সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি জাতীয় স্তরে ঐকমত্য গড়ে তুলতে পারেন ।

জ. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক তৎপরতা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কিত সমস্যাদির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়তে হয়। ফলে মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার পরিধি প্রসারিত হয়েছে এবং প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে মার্কিন রাষ্ট্রপতি একক উৎসে পরিণত হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি উইলসন ভার্সাই সন্ধি সম্পাদন এবং জাতিসংঘ গঠনের ক্ষেত্রে এক মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি স্থাপন, পারমাণবিক শক্তির বিকাশ, মারণাস্ত্র উৎপাদনের প্রতিযোগিতা, সামরিক জোট গঠন, জাতিসংঘে মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষণ, জাতীয় অর্থনীতির স্থায়িত্ব রক্ষা প্রভৃতি বিষয় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও প্রভাব বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কাজ করছে ।

ঝ. মার্কিন অর্থনৈতিক সামাজিক বিন্যাস : অনেকে মনে করেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা এবং প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিন্যাসই দায়ী। রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া পুঁজিবাদের পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রিভবন অনিবার্য হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতির মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল কেন্দ্র ওয়াশিংটনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ কেন্দ্রের একচ্ছত্র কর্ণধার। একচেটিয়া পুঁজিপতিগণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্ব স্বীকার করে নিয়েছে ।

ঞ. জাতীয় নেতা হিসেবে পরিচিতি : রাষ্ট্রপতি হলেন জাতীয় স্বার্থের মূর্ত প্রতীক। জাতির প্রতিভূ হিসেবে দেশ ও জাতিকে রাষ্ট্রপতি সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবেন এটাই জনগণ আশা করে। দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থে রাষ্ট্রপতি যদি জাতির ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে প্রয়াসী হন, তবে তিনি অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন। তাছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতি রক্ষার স্বার্থে জনমত ও নীতি এবং তা নির্ধারণের পদ্ধতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ফলে জাতীয় নেতা হিসেবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ট. দলীয় ব্যবস্থার অবদান : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলব্যবস্থার উদ্ভব ও বিকাশ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। রাষ্ট্রপতি যেহেতু নিজ দলের নেতা সেহেতু তাঁর নিজের দল কংগ্রেসের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারলে কংগ্রেসের উপর রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণ সুনিশ্চিত হয়। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপতি তার ইচ্ছা, নীতি ও কর্মসূচিকে আইনে পরিণত করতে এবং বাস্তবে রূপায়িত করতে সহজে সক্ষম হন। এর পরিণতিতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও পেয়েছে।

উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় সরকারের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্বকে প্রসারিত করেছে। তাছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার উৎস শুধুমাত্র সংবিধান নয় বরং পরিবর্তিত বিশ্বে নানা কারণে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংবিধান বহির্ভূত উৎস হতেও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে ।

মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা
Limitations of Powers of the American President

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ব্যাপক সাংবিধানিক ক্ষমতার অধিকারী হলেও একনায়কের মতো তাঁর ক্ষমতা অবাধ ও অনিয়ন্ত্রিত নয়।

মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার উপর নানাভাবে বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলির উপর যেসব ক্ষেত্রে বাধা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. জনমতের চাপ : মার্কিন রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ও প্রথাগতভাবে যে অপরিসীম ক্ষমতা চর্চা করেন তা তাঁকে একনায়কে পরিণত করার যথেষ্ট সুযোগ করে দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদাজাগ্রত জনমত রাষ্ট্রপতির স্বৈরাচারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। কেননা, জনমতকে উপেক্ষা করে রাষ্ট্রপতির পক্ষে গণবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়। জনমতের বিরোধিতার কারণেই রাষ্ট্রপতি নিক্সনের পক্ষে ভিয়েতনাম হতে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার ব্যতীত গত্যন্তর ছিল না ।

২. সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার গণ্ডিকে এমনভাবে আবদ্ধ করে রেখেছে যাতে করে তিনি কখনোই হিটলার বা মুসোলিনীর মতো একনায়ক হয়ে উঠতে পারেন না। ক্ষমতাস্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রবর্তন, নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রপতির স্বল্পকালীন কার্যকালের মেয়াদ নির্ধারণ, তৃতীয়বার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রভৃতি সাংবিধানিক ব্যবস্থাবলি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছে ।

মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সম্প্রসারণ/রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণসমূহ

৩. কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ : মার্কিন রাষ্ট্রপতির পদটি সাংবিধানিকভাবে যত ক্ষমতার অধিকারী হোক না কেন কিংবা নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি যতই ব্যক্তিত্ববান ও দৃঢ়চেতা হোক না কেন কংগ্রেসের সহযোগিতা ব্যতীত তিনি তাঁর দায়িত্ব ও ক্ষমতা চর্চার ক্ষেত্রে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবেন। কেননা, কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার উপর নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যেমন :

ক. রাষ্ট্রপতি বাজেট তৈরি করতে পারেন, কিন্তু কংগ্রেসের সম্মতি ব্যতীত তা কার্যকর হয় না ।

খ. বাজেট অনুমোদন ছাড়াও যে কোনো প্রকার প্রশাসনিক ব্যয় বরাদ্দের জন্য রাষ্ট্রপতিকে কংগ্রেসের উপর নির্ভর করতে হয়। অধিকন্তু রাষ্ট্রপতি কংগ্রেসের নিকট যে পরিমাণ ব্যয় বরাদ্দের দাবি পেশ করেন তা মেনে নিতে কংগ্রেস বাধ্য নয় ।

গ. কংগ্রেসের নিকট রাষ্ট্রপতি বার্ষিক, অর্ধ-বার্ষিক কিংবা আরও সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাঁর ক্ষমতার ব্যবহার সম্পর্কিত বিশদ বিবরণী পেশ করতে হয়।

ঘ. রাষ্ট্রপতি কংগ্রেসে বাণী প্রেরণের সময় যেসকল আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন সেসব আইন প্রণয়ন করার জন্য কংগ্রেসকে তিনি বাধ্য করতে পারেন না ।

ঙ. কংগ্রেস কর্তৃক নিয়োগকৃত বিভিন্ন কমিশনের কার্যাবলিকে তিনি প্রভাবিত কিংবা নিয়ন্ত্রিত করতে পারেন না।

চ. রাষ্ট্রপতির নিয়োগ ক্ষমতা, সন্ধি চুক্তি ও বৈদেশিক ক্ষমতা কার্যকর করার জন্যও কংগ্রেসের সম্মতি আবশ্যক ।

ছ. নিয়োগ, নাগরিকতা, আনুগত্য, রাজনৈতিক সংস্রব, ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক যোগ্যতা, বাসস্থান এবং অন্যান্য ব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়মাবলি তিনি শিথিল করতে পারেন না।

জ. কংগ্রেস কর্তৃক প্রণীত বিলে অসম্মতি জ্ঞাপন করলে তার কারণ জানিয়ে ১০ দিনের মধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট কক্ষে বিলটি ফেরত পাঠাতে বাধ্য। এরপর কংগ্রেস দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সেই বিলটি পুনরায় গ্রহণ করলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ব্যতীতই আইনে পরিণত হয়। সুতরাং বলা যায় যে, রাষ্ট্রপতির ভেটো প্রয়োগ কোনো প্রকার আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কার্যকরীভাবে কোনো বাধা প্রদান করতে পারে না।

ঝ. কংগ্রেস প্রয়োজন মনে করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিসংশন পদ্ধতি দ্বারা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারীর নায়ক রাষ্ট্রপতি নিক্সনকে অভিসংশনের ভয়েই ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

৪. বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ : মার্কিন বিচার বিভাগ রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তাঁর ব্যাপক ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রিত করে। নিম্নে এ প্রসঙ্গে আলোচনা করা হলো।

ক. রাষ্ট্রপতি সাধারণভাবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি লাভ করলেও সকল বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত নন। রাষ্ট্রপতির কোনো অধ্যাদেশ, সিদ্ধান্ত নিয়োগ বা সন্ধি-চুক্তি সম্পাদিত হলে সেগুলোর বৈধতা যাচাই করার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট রাখে। রাষ্ট্রপতির কোনো কর্মকাণ্ড অবৈধ হলে সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিকতার দায়ে বাতিল করে দিতে পারে।

খ. মার্কিন বিচার বিভাগ বিভিন্ন মামলার রায়দান কালেও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে সংকুচিত করেছে। যেমন- ১৯৩৫ সালে “হামফ্রের হত্যাকারী বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মামলার রায়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অপসারিত কর্মচারীদের রক্ষা করার দায়িত্ব কংগ্রেসের হাতে ন্যস্ত করে। আবার ১৯৫৮ সালে “কোল বনাম ইয়াং” মামলার রায়ে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বরখাস্ত করার ক্ষমতাও সঙ্কুচিত করা হয়। একই বছর কেন্ট বনাম ডালাস মামলার রায়ে রাষ্ট্রসচিব পাসপোর্ট মঞ্জুর না করে পররাষ্ট্র বিষয়ে যেভাবে নীতি নির্ধারণে প্রয়াস চালাচ্ছিলেন বিচারালয় তা বহুলাংশেই ক্ষুণ্ণ করে দিয়েছিল।

তবে বিচার বিভাগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার উপর বাধা নিষেধ আরোপ না করে বরং তাঁর ক্ষমতার পরিব্যাপ্তি সাধনে সাহায্য করেছে। এক্ষেত্রে ১৮৬৩ সালে প্রাইজ কেসগুলোর কথা কিংবা ১৯২৬ সালের মেয়ার্স বনাম যুক্তরাষ্ট্র বা ১৯৩৬ সালের যুক্তরাষ্ট্র বনাম কারটিস রাইস এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের মামলার রায়দানের কথা উল্লেখ করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় রাষ্ট্রপতি সাজা মওকুফ করার ক্ষমতা কিংবা আইনে ভেটো প্রদানের ক্ষমতা বিচারালয় কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে।

৫. আমলাতন্ত্রের প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ : অনেক ক্ষেত্রেই মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে আমলাতন্ত্রের উপর নির্ভর করতে হয়। মুখ্য প্রশাসক ও সর্বাধিনায়ক হিসেবে সরকারি কর্মচারীদের নিকট থেকে প্রত্যাশিত আনুগত্য অনেক সময় তিনি পান না। তা সত্ত্বেও কাজের অত্যধিক চাপের কারণে রাষ্ট্রপতিকে প্রশাসন পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ আমলাদের সাহায্য ও সহযোগিতার উপর নির্ভর করতে হয়। ফলে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ আমলা শ্রেণি রাষ্ট্রপতির কার্যক্রমের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। তাদেরকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে রাষ্ট্রপতির একার পক্ষে কোনো নীতি নির্ধারণ বা কার্যকর করা সম্ভব নয়।

৬. দলীয় ব্যবস্থার বাধা : ব্রিটেনসহ বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের দলব্যবস্থা অভিনব ও তুলনাহীন। বিরোধী দলের বিরোধিতার কথা বাদ দিলেও নিজ দলের সদস্যগণও অনেক সময় রাষ্ট্রপতির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে অনীহা বোধ করেন, এমনকি তার পদক্ষেপের বিরোধিতা করে থাকেন। রাষ্ট্রপতির কোনো প্রস্তাব যে সিনেট বা প্রতিনিধিসভায় তাঁর নিজ দলের সমর্থন লাভ করবে তা অনিশ্চিত। ফলে রাষ্ট্রপতির উপর দলীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় । এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করে ।

৭. রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিত্বহীনতা : মার্কিন রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিত্বহীনতা তাঁর ক্ষমতা সীমাবদ্ধতার অন্যতম একটি কারণ । রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা, সচেতনতা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ব্যক্তিত্ব তাঁকে সাফল্যের পথে পরিচালিত করে। অন্যদিকে, দুর্বলচিত্ত ও আত্মবিশ্বাসহীন কোনো রাষ্ট্রপতির পক্ষে ব্যর্থ হওয়াই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রপতির বিবেক ও শিক্ষাদীক্ষা, ইতিহাসবোধ এবং সেই বোধের দ্বারা নিরপেক্ষভাবে সমালোচিত হবার অভিপ্রায়, কর্মের ভারে ক্লান্ত না হয়ে দৃপ্তভাবে কর্মসাধনে অগ্রসর হওয়ার ক্ষমতা এসবই রাষ্ট্রপতিকে জাগ্রত রাখে এসব গুণ তাঁকে এমন কোনো কাজ করতে দেয় না, যা তাঁর খ্যাতি ও প্রতিপত্তির পরিপন্থী। ক্লিনটন রসিটার (Clinton Rossiter)-এর মতে, বাহ্যিক অপেক্ষা অভ্যন্তরীণ বিধিনিষেধ রাষ্ট্রপতিকে সংযত রাখতে সক্ষম ।

৮. চাপপ্রয়োগকারী গোষ্ঠীর প্রভাব : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে চাপপ্রয়োগকারী গোষ্ঠীর স্বর্গরাজ্য। অধ্যাপক ফাইনার (Finer)-এর মতে, “Indeed for a long time America was regarded as the unique home of pressure groups” এসকল চাপপ্রয়োগকারী গোষ্ঠীসমূহ সর্বদা নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য সচেষ্ট থাকে। এসকল গোষ্ঠীর চাপ উপেক্ষা করা রাষ্ট্রপতির পক্ষে সঙ্গত ও যৌক্তিক হয় না ।

তবে একথাও সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির ভূমিকা ও কর্তৃত্বের পরিবর্তন এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে বর্তমানে কংগ্রেস অপেক্ষা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলির গুরুত্ব বিশেভভাবে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান, জনমতকে প্রভাবিত করার জন্য নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবন, অভ্যন্তরীণ শান্তি ও আর্থিক সচ্ছলতার জন্য তাঁর ক্রমবর্ধমান কর্মতৎপরতা, ব্যক্তি থেকে তাঁর একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া প্রভৃতির ফলে রাষ্ট্রপতির পদের গুরুত্ব অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বলা চলে রাষ্ট্রপতি গ্যালিভারের ন্যায় দশ হাজার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত নন কিংবা প্রমিথিউসের ন্যায় নৈরাশ্যের শিলাখণ্ডে আবদ্ধও নন। বরং বলা চলে তিনি প্রবল প্রতাপান্বিত সিংহের মতো বহুদূর পর্যন্ত স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে কিংবা তাঁর বিশাল কর্মদক্ষতার সীমা অতিক্রম না করেও অনেক কিছুই করতে পারেন। তাঁর ক্ষমতার উপর যেসব বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা তাঁর ক্ষমতাকে ধ্বংস করার জন্য নয়, বরং তাঁকে সংযমের সীমার মধ্যে আবদ্ধ রাখার জন্য। তিনি যদি তাঁর ক্ষমতার পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চান তবে কার্যত তাঁর পথরোধ করে দাঁড়াবার ক্ষমতা কারো নেই ।

বি: দ্র: ১. থিওডর রুজভেল্ট সবচেয়ে কম বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। মাককিনলীর মৃত্যুর পর তিনি

মাত্র ৪২ বছর বয়সে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

রোনাল্ড রিগ্যান সবচেয়ে বেশি বয়সে (৬৯ বছর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন । তিনি ৭৭ বছর বয়সে অফিস ত্যাগ করেন।

৩. ডব্লিউ এইচ. হ্যারিসন সবচেয়ে কম সময় (মাত্র ১ মাস) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

৪. ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট একমাত্র রাষ্ট্রপতি, যিনি একটানা ১২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে)।

৫. উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্রাস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

৬. রিচার্ড নিক্সন হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র পদত্যাগকারী রাষ্ট্রপতি। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারীর জন্য

ইম্পিচমেন্ট হওয়ার পূর্বেই তিনি পদত্যাগ করেন ।

৭. ভার্জিনিয়ার রাজ্যে জন্মগ্রহণকারী সর্বাধিক ৮ জন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

৮. জন এডামস হলেন হোয়াইট হাউসে বসবাসকারী প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রপতি ।

একমাত্র অবিবাহিত রাষ্ট্রপতি হলেন জেমস বুকানন। তার বোন ঝি হোয়াইট হাউসে ফার্স্ট লেডির ভূমিকা পালন করেন ।

Leave a Reply