ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ইতিহাস

ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা কর । Describe briefly the history of British Monarchy.

ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

Brief History of the British Monarchy

ব্রিটেনের রাজতন্ত্র বিশ্বের একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। নবম শতাব্দির তৃতীয় দশকে রাজা এগবার্ট (Egbert) এর সময় থেকে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র তার প্রায় নিরবচ্ছিন্ন অস্তিত্ব আজও অটুট রেখেছে। সপ্তদশ শতাব্দির মধ্যভাগে ১৬৪৯ সাল থেকে ১৬৬০ সাল পর্যন্ত এই এগারো বছর ব্রিটেনে রাজতন্ত্র ছিল না। এ সময় ব্রিটেনে অলিভার ক্রমওয়েল ও রিচার্ড ক্রমওয়েলের নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সীমিত কয়েক বছরের প্রজাতন্ত্রের পর আবার ১৬৬০ সাল থেকে রাজতন্ত্র তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে। অথচ ব্রিটেনে রাজতন্ত্র কেবল টিকে থাকে নি, একে জনগণের অনুমোদনের উপর ভিত্তি করে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

ক. রাজতন্ত্রের উদ্ভব : ব্রিটেনে রাজতন্ত্রের উদ্ভব হয়েছে নবম শতাব্দির তৃতীয় দশকে। ৮২৭ সালে রাজা এগবার্ট (Egbert)-এর সময় থেকে অদ্যাবধি রাজতন্ত্র নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছে। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দিতে মূল ইউরোপীয় ভূখণ্ড থেকে অ্যাংলো স্যাকসন উপজাতিরা ইংল্যান্ডে আসে। তারা স্থানীয় সেল্টিক (celtic) উপজাতিদের বিতাড়িত করে নিজেদের প্রধানের নেতৃত্বে সাতটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। এই সাতটি রাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ ও যুদ্ধ প্রায়ই লেগে থাকত। এভাবে নবম শতাব্দিতে ওয়েসেক্স রাজা বাকি ছয়টি রাজ্যের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে। সমস্ত অধিকৃত অঞ্চল একজন সার্বভৌম শাসকের অধীনে আসে। এভাবে নবম শতাব্দিতে অ্যাংলো-স্যাকসন যুগে রাজতন্ত্রের উদ্ভব ঘটে।

খ. নবম দশম শতাব্দির রাজতন্ত্র : নবম ও দশম শতাব্দিতে অ্যাংলো-স্যাকসন যুগে রাজারা উত্তরাধিকার সূত্রে রাজ সিংহাসনে আরোহণ করতেন। এ সময় রাজারা এককভাবে রাজ্য শাসন করতেন না। তারা উইটান (Witan) বা বিজ্ঞজনসভা (Council of Wise Men)-র মাধ্যমে রাজ্য শাসন করতেন। উইটান গঠিত হতো রাজ পরিবারের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশপ, শায়ার -এর অল্ডারম্যান এবং প্রধান ভূস্বামীদের নিয়ে। রাজা নিজে এতে সভাপতিত্ব করতেন ।

গ. নর্মান যুগে চরম রাজতন্ত্রের উদ্ভব : ১০৬৬ সালে নর্মান্ডির উইলিয়াম (William) ইংল্যান্ড জয় করেন এবং নিজেকে ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে ঘোষণা করেন। ওয়েস্ট মিনিস্টারে তার অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। একাদশ শতাব্দিতে উইলিয়ামের সময়ে ইংল্যান্ডে পুরোপুরি সামস্ত ব্যবস্থা (Feudal system) প্রবর্তিত হয় এবং রাজার ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। আঞ্চলিক শাসনব্যবস্থার উপর নর্মান রাজাগণ তাঁদের প্রাধান্য কায়েম করেন। উইলিয়াম নিজেকে গির্জা ও খ্রিস্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন। উইলিয়াম এবং তাঁর পরবর্তী রাজাগণ মহা পরিষদ (Magnum concilium) এবং ক্ষুদ্র পরিगम (Curia Regis)-এর পরামর্শ অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।

ঘ. মহাসনদ চরম রাজতন্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ : রাজা দ্বিতীয় হেনরির দুই পুত্র রিচার্ড ও জন ছিলেন অযোগ্য, খামখেয়ালী ও স্বৈরাচারী শাসক। বিশেষ করে রাজা জনের স্বৈরাচারী কার্যকলাপে ভূস্বামীগণ (Barons) অতিষ্ঠ হয়ে রাজার ক্ষমতার উপর নিয়ন্ত্রণ অরোগে উদ্যোগী হন, অতঃপর ১২১৫ সালের ১৫ জুন রুনিমিড প্রান্তরে রাজা জন এবং বিক্ষুব্ধ ব্যারনদের মধ্যে ঐতিহাসিক মহাসনদ (Magna Carta) সম্পাদিত হয়। রাজা জন তাদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত মহাসনদ মেনে নিতে বাধ্য হন।

গু. রাজার ক্ষমতা হ্রাস এবং সামন্ত শ্রেণির প্রভাব বৃদ্ধি : এরপর প্রায় অর্ধশতাব্দি পরে রাজা তৃতীয় হেনরির সাথে কর ধার্যের ব্যাপার জমিদারদের বিরোধ শুরু হয়। সাইমন ডি মন্টফোর্ড জমিদার শ্রেণির নেতৃত্ব দেন। এই বিরোধে রাজা পরাজিত হন এবং সাইমন্ট ডি মন্টফোর্ড বিজয়ী হন। এরপর থেকে পঞ্চদশ শতাব্দি পর্যন্ত রাজার ক্ষমতা সংকুচিত করে নিজেদের প্রাধান্য বিস্তারের সংগ্রামে সামন্ত শ্রেণি যথেষ্ট পরিমাণে সাফল্য অর্জন করতে থাকে।

চ. টিউডর যুগে চরম রাজতন্ত্র : ইংল্যান্ডের সামন্তবাদী সম্প্রদায়ের দুটি উপদলের মধ্যে সিংহাসন লাভের জন্য যুদ্ধ শুরু হয়। ১৪৫৫-৮৫ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ইয়র্ক ও ল্যাংকাস্টারদের মধ্যে যুদ্ধের ফলে সামন্ততন্ত্রের ক্ষমতা ও প্রভাব বিলুপ্ত হয়। এই দীর্ঘ সশস্ত্র সংগ্রামের পর টিউডর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সপ্তম হেনরি, অষ্টম হেনরি এবং প্রথম এলিজাবেথের রাজত্বকালে পার্লামেন্ট সম্পূর্ণভাবে রাজা বা রানীর অনুগত হয়ে পড়ে ।

ছ. স্টুয়ার্ট যুগে রাজতন্ত্রের অবসান প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা : সপ্তদশ শতাব্দিতে স্টুয়ার্ট রাজাদের রাজত্বকালে ব্রিটেনের রাজতন্ত্র চরম সংকটে নিপতিত হয়। রাজা প্রথম জেমস পার্লামেন্টের প্রাধান্য বা সাধারণ আইনের বিরোধিতা করেন। তিনি রাজার ঐশ্বরিক ক্ষমতা তত্ত্ব (Theory of Divine Right) তুলে ধরেন। ফলে রাজার সাথে পার্লামেন্টের বিরোধ দেখা দেয়। রাজা প্রথম চার্লসের রাজত্বকালে এই বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তিনি ১৬২৮ সালে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন কিন্তু ধনিক- বণিক শ্রেণির চাপে আবার পার্লামেন্ট আহবান করেন। এই সময় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ লর্ডসভা ও কমন্সসভা একযোগে একটি অধিকারের আবেদন পত্র (Petition of Rights) পেশ করে। রাজা চার্লস তা মেনে নিতে বাধ্য হন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তিনি অধিকারের আবেদন পত্রকে অগ্রাহ্য করতে লাগলেন। ফলে রাজা ও পার্লামেন্টের বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৬৪৯ সালে দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধ শুরু হয় ।

১৬৪৯ সালে বণিক শ্রেণির নেতা অলিভার ক্রমওয়েলের নেতৃত্বে উদীয়মান ধনিক-বণিক শ্রেণি ক্ষমতা দখল করে। রাজা প্রথম চার্লস মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। এর ফলে ব্রিটেনে রাজতন্ত্রের পরিবর্তে প্রজাতন্ত্র চালু হয় ৷

জ. স্টুয়ার্ট রাজত্ব রাজতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা : অলিভার ক্রমওয়েলের শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৬৫৮ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ক্রমওয়েলের মৃত্যুর দু’বছরের মধ্যে প্রজাতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং ব্রিটেনে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। স্টুয়ার্ট বংশের দ্বিতীয় চার্লস ১৬৬০ সালে পার্লামেন্টের প্রাধান্য স্বীকার করে নিয়ে সিংহাসনে আরোহণ করেন। কিন্তু দ্বিতীয় জেমস এর রাজত্বকালে রাজার সাথে পার্লামেন্টের বিরোধ বাধে। ফলে ১৬৮৮ সালে দ্বিতীয় জেমস ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত হন। তাঁর কন্যা মেরী এবং জামাতা উইলিয়ামকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনীত করা হয়। যুদ্ধ ছাড়া রক্তপাতহীন পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবর্তন ঘটেছে বলে এই পরিবর্তনকে রক্তপাতহীন বিপ্লব বা গৌরবময় বিপ্লব (Glorious Revolution) বলে অভিহিত করা হয় ।

ঝ. নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : রাজা বা রানীর স্বৈরাচারী হওয়ার সম্ভাবনাকে রদ করার উদ্দেশ্যে ১৬৮৯ সালে পার্লামেন্ট “অধিকারের বিল’ (Bill of Rights) প্রণয়ন করে। এই বিলের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রকে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রে রূপান্তরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এই বিলের সাহায্যে পার্লামেন্টের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লবের পর হতে ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থা নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে।

 

রাজা রাজতন্ত্র King and the Crown

অনেকে মনে করেন রাজা ও রাজতন্ত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু তাদের এ ধারণা সত্য নয়। রাজা ও রাজতন্ত্রের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। ব্রিটেনে রাজা হলেন একজন ব্যক্তি মাত্রা আন রাজতন্ত্র হলো একটি প্রতিষ্ঠান। ব্রিটেনে রাজতন্ত্রের অনেক পরে পার্লামেন্ট, কেবিনেট ইত্যাদি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাজতন্ত্রের গোড়ার দিকে রাজারা চরম স্বৈরাচারি ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। রাজা ব্যক্তিগতভবে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন।

এভাবে সপ্তদশ শতাব্দির প্রথম ভাগ পর্যন্ত বিটেনে চরম রাজতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকায় ব্যক্তি রাজার সাথে প্রতিষ্ঠানগত রাজতন্ত্রের কোনো পার্থক্য ছিল না। বিশেষ করে গৌরবময় বিপ্লবের পর থেকে ব্যক্তি রাজা এবং প্রাতিষ্ঠানিক রাজার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হতে থাকে। অগ এবং জিংক (Ogg and Zink) বলেছেন, অতীতে রাজা নির্বাচিত হতেন এবং একজন মারা গেলে আরেকজন সিংহাসনে আরোহণ করতেন। কিন্তু পরে সিংহাসন বংশানুক্রমিক হয়ে যাওয়ায় রাজা কলাটির সাথে রাজশক্তি (Crown) বা রাজতন্ত্র কথাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অনেক চিন্তাবিদদের মতে, রাজশক্তি বা রাজতন্ত্র কথাটি চালু করার পিছনে ব্ল্যাকস্টোনের (Blackstone) অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেছেন, একজন হেনরী, একজন জর্জ বা একজন এডওয়ার্ড মারা যেতে পারেন কিন্তু রাজতন্ত্র কখনো মারা যায় না।’ (Henery, Edward or George may die but the king survive them all). ব্লাকস্টোনের মন্তব্য থেকে আমরা সহজেই রাজা ও রাজতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি।

ক. রাজ বা রানী বলতে ব্যক্তি হিসেবে রাজা বা রানী (King or Queen as a person)-কে বোঝায়। কিন্তু রাজতন্ত্র বলতে প্রতিষ্ঠানগত (Crown as an institution)-কে বোঝায় ৷

খ. রাজা বা রানী হলেন ব্রিটেনের একজন বিশেষ ব্যক্তি। তিনি রাজপদে আসীন থাকেন। অপরদিকে, রাজতন্ত্র হলো একটি প্রতিষ্ঠান (Institution ) ।

গ. ব্যক্তি রাজা প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতাহীন। তাঁর নামে কেবিনেট সরকারি ক্ষমতা প্রয়োগ করে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক রাজা বা রাজতন্ত্রের হাতে সকল ক্ষমতা ন্যস্ত ।

ঘ. ব্যক্তি রাজা পার্লামেন্টের ক্ষমতার দ্বারা আবদ্ধ। অন্যদিকে রাজতন্ত্রের ক্ষমতা পার্লামেন্টের সম্মতি সাপেক্ষে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ পার্লামেন্ট অবহিত যে, রাজতন্ত্র সর্বতোভাবে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ এবং পরামর্শক্রমে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রয়োগ করবেন।

৫. মন্ত্রীদের কাজ-কর্মের জন্য রাজা বা রানীর কোনো ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব নেই। কিন্তু ব্রিটেনে রাজতন্ত্র হলো একটি আইনগত বা নৈর্ব্যক্তিক ধারণা বিশেষ। ব্রিটেনে রাজতন্ত্রকে রাজার বিশেষাধিকারসহ সরকারের ব্যাপক ক্ষমতার যোগফলের প্রতীক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

চ. রাজা বা রানী সিংহাসন ত্যাগ করতে পারেন বা মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু ব্যক্তি রাজার সিংহাসন ত্যাগের অথবা মৃত্যুর সাথে সাথে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে না।

ছ. কার্টার, রেনী এবং হার্জ (Carter, Ranney and Herz) রাজা ও রাজতন্ত্রের পার্থক্যকে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। ব্যক্তি রাজার গুণাবলি বা ক্ষমতা যাই হোক না কেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজতন্ত্র এখনও প্রভূত মর্যাদার অধিকারী । এ প্রতিষ্ঠানের প্রাচীনত্ব, এর সাথে জড়িত জাঁকজমকই এর মূল কারণ। সরকারের পরিবর্তন ঘটে কিন্তু রাজতন্ত্র অব্যাহত থাকে।

জ. মুনরো এবং আয়ার্স্ট (Munro and Ayearst) এর মতে, ব্যক্তি রাজার হাত থেকে রাজতন্ত্রের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমেই ব্রিটিশ সংবিধানের বিকাশ ঘটেছে। রাজার মর্যাদা অনেক পরিবর্তিত হয়েছে তিনি এখনও আইনের ঊর্ধ্বে।

উপরিউক্ত পার্থক্যের ভিত্তিতে ব্রিটেনে রাজার মৃত্যু নেই (The king never dies), রাজার মৃত্যু হয়েছে; রাজা দীর্ঘজীবী হোন (The king is dead; long live the king), রাজা কোনো অন্যায় করতে পারেন না (The king can do no wrong), রাজা রাজত্ব করেন; কিন্তু শাসন করেন না (The king reigns, but does not rule) প্রভৃতি উক্তির প্রচলন হয়েছে। এই উক্তিগুলো বিশ্লেষণ করলে রাজা ও রাজতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা সহজ হয়।

ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

Leave a Reply